তাপদাহে পুড়ছে খুলনার জনপদ। এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে কৃষক, দিনমজুর, দোকানদার, ঠেলা-ভ্যান-রিকশা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ মে) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের অর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন।
নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার ডাব বিক্রেতা ফজলুর রহমান বলেন, যে গরম তাতে ডাব এনে দুই দিন রাখা যাচ্ছে না। গরম বেশি তাই মালের দামও একটু বেশি। দশ জন কাস্টমার আসলে দাম শুনে চার জন চলে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে তো কেনা দামেও বিক্রি করতে হচ্ছে। মাল কেনা, বহনের খরচ সবমিলিয়ে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে।
ঠেলা গাড়ি চালক ফারুক বলেন, আমাদের মাল টেনে খেতে হয়। মাল টানতে পারলে টাকা না হলে বসে থাক। গরম-ঠরম এতো কিছু বুঝি না।
খুলনা মেডিকেলে কর্মরত মেহেদি হাসান বলেন, অসহ্য গরমে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে । আমাদের এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। ফ্যান চলছে তারপরও যেম মনে হচ্ছে এই গরমে দম বন্ধ হয়ে যাবে।
দোকানদার ফতেয়াল বলেন, এতো গরমের মাল বোঝায় দোকানে থাকা কষ্টকর। এখানে খরিদ্দারের ভীড়ও বেশি। ভোরে দোকান খুলি আর বেলা সাড়ে ১১ টায় বন্ধ করি। আবার রোদ কমলে ৫ টায় দোকান খুলে রাত সাড়ে ১০/১১ টায় বন্ধ করি।
অপরদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ১৩ মে পর্যন্ত ক্রমেই বাড়তে পারে।
খুলনা গেজেট/এমএম